বাংলাদেশের পটুয়াখালী, বরগুনা ও কক্সবাজার জেলায় রাখানইরা বাস করে। রাখাইনরা মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠীর লোক। তাদের মুখমণ্ডল গোলাকার, দেহের রং ফরসা ও চুলগুলো সোজা ।
'রাখাইন' শব্দটির উৎপত্তি পালি ভাষার ‘রাক্ষাইন' থেকে। এর অর্থ হচ্ছে রক্ষণশীল জাতি যারা
নিজেদের পরিচয়, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় কৃষ্টিসমূহকে রক্ষা করতে সচেষ্ট।
বর্তমান মিয়ানমারের আরাকান অঞ্চল রাখাইনদের আদিবাস। রাখাইনরা এক সময় আরাকান থেকে এদেশে এসেছিল। তারা নিজেদের রাক্ষাইন নামে পরিচয় দিতে ভালোবাসে।
সামাজিক জীবন : রাখাইন পরিবার প্রধানত পিতৃতান্ত্রিক। পিতাই পরিবারের প্রধান। তবে নারীদেরকে
তারা শ্রদ্ধা করে।
অর্থনৈতিক জীবন : রাখাইনরা প্রধানত কৃষির উপর নির্ভরশীল। তবে এর পাশাপাশি নিজস্ব হস্তচালিত তাঁত থেকে কাপড় বোনার কাজও তারা করে থাকে ।
ধর্মীয় জীবন : বাংলাদেশের রাখাইনরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। রাখাইন শিশু-কিশোরদের বৌদ্ধ মন্দিরে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হাতে ধর্মীয় শিষ্টাচারে দীক্ষিত করা হয়।
সাংস্কৃতিক জীবন : নদীর পাড় ও সমুদ্র উপকূলের সমতল ভূমিতে রাখাইনদের গ্রামগুলো অবস্থিত। রাখাইনরা মাচা পেতে ঘর তৈরি করে। তাদের কারও ঘর গোলপাতার ছাউনি, আবার কারও ঘর টিনের হয়ে থাকে।
রাখাইনরা নানা পালাপার্বণে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। এর মধ্যে ধর্মীয় অনুষ্ঠান বিশেষ করে গৌতম বুদ্ধের জন্ম-বার্ষিকী, বৈশাখী পূর্ণিমা, বসন্ত উৎসব প্রধান। তবে চৈত্র-সংক্রান্তিতে রাখাইনরা যে সাংগ্রাই উৎসব পালন করে সেটাই তাদের সবচেয়ে বৃহৎ ও সর্বজনীন আনন্দ উৎসব।
রাখাইন পুরুষেরা লুঙ্গি ও ফতুয়া পরে। পুরুষরা সাধারণত ফতুয়ার উপর লুঙ্গি পরে। মন্দিরে প্রার্থনাকালীন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় ও লোকজ অনুষ্ঠানে তারা মাথায় পাগড়ি পরে। পাগড়ি তাদের ঐতিহ্যের প্রতীক। রাখাইন মেয়েরা লুঙ্গি পড়ে। লুঙ্গির উপরে ব্লাউজ পরে।
কাজ : রাখাইনদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় জীবনের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো :
জীবনব্যবস্থা | বৈশিষ্ট্য |
সামাজিক | |
অর্থনৈতিক | |
সাংস্কৃতিক | |
ধর্মীয় |
Read more